নওগাঁয় মজুতবিরোধী অভিযানে ৭ দিনে ৩৯ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত রাখার দায়ে গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৭ দিনে ৩৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা বলেন, মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনার ফলে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। অবৈধভাবে মজুত করা ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও একজন উপপরিদর্শকের সমন্বয়ে তদারকি টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি তদারক করে সাত দিনের মধ্যে অবৈধভাবে মজুত করা ধান-চাল বাজারজাত করবেন। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গতকাল সোমবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার নিয়ামতপুর, সাপাহার, ধামুইরহাট ও সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১০ ব্যবসায়ীকে ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নিয়ামতপুরের অভিযান বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দামপুরা বাজারে অবৈধভাবে ১ হাজার ৮০০ মণ ধান মজুতের দায়ে জাহাঙ্গীর শেখ নামের এক ধান আড়তদারকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার নিমদীঘি বাজারের একটি ধান আড়তের গুদামে সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত ২ হাজার ৫০০ মণ ধানের মজুত পাওয়ায় রুহুল আমিন নামের এক ব্যক্তিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নিয়ামতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রূপম দাস ওই দুই অভিযান পরিচালনা করেন।
সাপাহার উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান আড়তের ব্যবসা করায় উপজেলা সদর ও দিঘিরহাট বাজারের দুই ব্যবসায়ীকে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
ধামুইরহাট উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করা এবং অবৈধভাবে ধান মজুতের দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ধামুইরহাটে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা খাতুন এসব অভিযান পরিচালনা করেন।
নওগাঁ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শওকত মেহেদী চারটি চালকলে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুতের প্রমাণ পাওয়ায় চার মালিককে মোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়া নওগাঁ শহরের পৌর ক্ষুদ্র বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে তদারকি অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শওকত মেহেদী। এ সময় তিনি ওই বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতা ব্যবসায়ীদের প্রতি মোটা চাল ৪৬ কেজি দরে বিক্রির নির্দেশনা দেন।