২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

চাঁদাবাজির অভিযোগে পিরোজপুরে সাবেক ওসিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানার সাবেক ওসি মো. আসিকুজ্জামানছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাজধানী ঢাকার সূত্রাপুর থানা বিএনপির সহসভাপতি মিরাজ সিকদার মামলাটি করেন। বিচারক সাদিক আহমেদ মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ নিয়েছেন।

বর্তমানে ঢাকার উত্তরায় এপিবিএন-৫–এর পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন ভান্ডারিয়া থানার তৎকালীন ওসি আসিকুজ্জামান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিরন, ভান্ডারিয়া উপজেলা জয় বাংলা ঐক্য পরিষদ লীগের সভাপতি নাদিম সিকদার, ধাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবুল সিকদার, উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মামুন সিকদার, ইকরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাবু তালুকদার। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও চার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আকরাম আলী মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করবে।

আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমি মিরাজ সিকদার নামের কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা নিইনি।
মো. আসিকুজ্জামান

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে মিরাজ সিকদারকে ওসি অসিকুজ্জামানের কাছে নিয়ে যায় ভান্ডারিয়া থানা–পুলিশ। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে ওসির বাসভবনের ছাদে নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অন্যথায় একাধিক মিথ্যা মামলায় তাঁকে আসামি করার হুমকি দেন ওসি। মামলাটির অন্যতম সাক্ষী এস এম এ আলীমের মধ্যস্ততায় আসিকুজ্জামানকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার চুক্তি হয়। পরে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মিরাজ সিকদার ওই টাকা দিয়ে থানা থেকে বের হওয়ার সময় আরও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই মামলার অন্য আসামিরা। পরে তাঁদের ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকায় চলে যান মিরাজ।

বাদী মিরাজ সিকদার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি এই ঘটনার পর আসামিদের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ থানায় মামলা নেয়নি। পরে থানা–পুলিশের পরামর্শে আদালতে মামলা করি।’

তবে চাঁদা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ওসি মো. আসিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমি মিরাজ সিকদার নামের কারও কাছ থেকে কোনো চাঁদা নিইনি।’