হঠাৎ স্কুল ব্যাগ-জুতা ফেলে ব্রহ্মপুত্রে ঝাঁপ ছাত্রীর, তারপর...

ব্রহ্মপুত্র নদে আত্মহত্যার জন্য ঝাঁপ দেওয়া স্কুলছাত্রীকে পাড়ে তুলে নিয়ে আসেন মাঝি স্বপনছবি: প্রথম আলো

প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে নদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। আজ সোমবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে ময়মনসিংহ নগরের জয়নুল আবেদিন উদ্যান এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটিকে ঝাঁপ দিতে দেখে একটি নৌকার মাঝি গিয়ে তাকে বাঁচান।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আজ বেলা সোয়া দুইটায় উদ্যান এলাকার ব্যাটবল চত্বরের দিকে হঠাৎ স্কুল ব্যাগ ও জুতা ফেলে ব্রহ্মপুত্র নদে ঝাঁপ দেয় এক স্কুলছাত্রী। এ সময় নদের ধারে চা-দোকানগুলোতে বহু মানুষ ছিলেন। বর্ষায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ায় স্রোতে তলিয়ে যেতে শুরু করে ওই ছাত্রী। তাকে নদে ঝাঁপ দিতে দেখে নৌকা নিয়ে যান মাঝি স্বপন মিয়া। স্বপন নৌকা নিয়ে মানুষ পারাপারের কাজ করেন। স্বপন মেয়েটিকে বাঁচাতে যান। ওই সময় অনেকে ওই দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

স্বপন মিয়া বলেন, ‘মেয়েটি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে দেখে নৌকা নিয়ে কাছে গিয়ে তার হাত ধরে টেনে তোলার চেষ্টা করি। ওই সময় আরেকটি নৌকায় আরও তিনজন এসে সহযোগিতা করে মেয়েটিকে নৌকায় তুলে পাড়ে নিয়ে যান।’

স্বপন মিয়া বলেন, পাড়ে ওঠার পর মেয়েটি জানায়, তারা দুই বোন ও এক ভাই। সে সবার ছোট। সদর উপজেলার একটি গ্রামে তার বাড়ি। সে নগরের একটি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে। প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় সে নদে ঝাঁপ দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী দেলোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটি নদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও মাঝি স্বপন মিয়ার কারণে প্রাণে বেঁচে গেছে। পাড়ে তোলা পর মেয়েটির কাছে পরিবারের নম্বর চাওয়া হলে একটি ছেলের নম্বর দেয়। সেই নম্বরে কল করলে ছেলেটি মেয়েটিকে চেনে না বলে জানায়। ওই অবস্থায় পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এদিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্থানীয় দুই নারী ওই ছাত্রীকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়ে যান।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু ওই ছাত্রীকে সেখানে পাওয়া যায়নি।