প্রথম আলো: সিলেটে তো এখন উচ্চশিক্ষার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। সার্বিক অর্থে এই অঞ্চলের উচ্চশিক্ষার মান কেমন?
উপাচার্য: সিলেটে বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তবে আগের চেয়ে এই মুহূর্তে শিক্ষায় অনেকটা অগ্রগতি হচ্ছে। আমি মনে করি, কঠিন হলেও সবাইকে শিক্ষার মান ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তবেই সিলেট অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা আরও এগিয়ে যাবে।
প্রথম আলো: অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় আপনাদের ব্যতিক্রমী কিছু আছে? থাকলে তা কেমন?
উপাচার্য: সিলেট নগরের ভেতরে আমাদেরই কেবল নিজস্ব ক্যাম্পাস আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে মাঠ নেই, সেখানে আমাদের বড় একটি মাঠ আছে। উন্মুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক নিরিবিলি পরিবেশে এখানে পাঠদান করা হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী। আমরা যখন শিক্ষক নিয়োগ দিই, তখন মেধা ও দক্ষতাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের একটি সুবিশাল লাইব্রেরি আছে। সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার বই আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আমেরিকান কর্নার আছে। শিক্ষার্থীরা যেকোনো ধরনের শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রমের উদ্যোগ নিলে কর্নার কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে। এ কর্নারের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়। আমরাও এসব কাজে উৎসাহ দিই। মূলত শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু পড়াশোনা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিই। এসব কারণেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটু ব্যতিক্রম।
প্রথম আলো: শিক্ষার মান বাড়ানো এবং গবেষণার বিষয়টিতে আপনারা কতটুক গুরুত্ব দেন? সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রসারে কী ধরনের ভূমিকা রাখেন?
উপাচার্য: শিক্ষার মান বাড়াতেই আমাদের সার্বক্ষণিক নজর থাকে। মানসম্মত শিক্ষাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এ জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন, আমরা তা গ্রহণ করছি। সব সময় শিক্ষার মান ধরে রাখতে আমরা কাজ করছি। পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রমকেও আমরা উৎসাহিত করি। যদিও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলকভাবে গবেষণা কম হয়, এরপরও আমাদের চেষ্টা থাকে গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে। আমি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছি। উচ্চশিক্ষায় অঞ্চলভিত্তিক তারতম্য, সুযোগ-সুবিধা তাই আমার জানা ও দেখার মধ্যে আছে। শিক্ষার মান বাড়াতে সেসব অভিজ্ঞতা এখানে কাজে লাগাচ্ছি। সহশিক্ষা কার্যক্রম ছাড়া জ্ঞানের পূর্ণতা লাভ ঘটে না। তাই সহশিক্ষা কার্যক্রমকে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে থাকে।
প্রথম আলো: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনাদের ভাবনা ও ভবিষ্যৎ কোনো পরিকল্পনা থাকলে বলুন।
উপাচার্য: আমরা নানা মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করছি। বিশেষত শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছি। একজন শিক্ষার্থী যেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করে যাওয়ার পর সুনাম ও সফলতার সঙ্গে কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, সেটি নিশ্চিতে আমরা চেষ্টা করছি। এ ছাড়া তারা যেন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে, সেটিও বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেই অনুযায়ী আমরা তৈরি করছি।