জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার মায়েশার বাবা-চাচা ৬ বছর আগে বিস্ফোরকসহ ধরা পড়েছিলেন

ঘিরে রাখা বাড়ি থেকে ১০ জনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছেন সিটিটিসির সদস্যরা। শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী পূর্ব টাট্রিউলি গ্রামে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে শনিবার গ্রেপ্তার মায়েশা ইসলামের (২০) বাবা ও চাচা ছয় বছর আগে নিজেদের বাড়ি থেকে বিস্ফোরকসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার চানপুরের পাবনাপাড়ায়।

কুলাউড়ার কর্মদা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলি গ্রামের নিভৃত টিলায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। সেখান থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়। তাঁরা ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে সিটিটিসি জানায়।

সোমবার সকালে পাবনাপাড়ায় গিয়ে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেয়ের গ্রেপ্তারের খবর প্রতিবেশীরা জানার আগেই মায়েশার বাবা সায়েদুল ইসলাম ওরফে দুলাল গা ঢাকা দেন। বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

গ্রামের এক তরুণ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সায়েদুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন যে জঙ্গি, তা তাঁরা ছয় বছর আগে থেকেই জানেন। ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি পুলিশ বিস্ফোরকসহ মায়েশার বাবা সায়েদুল ইসলাম ও চাচা ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের ওই অভিযানে গ্রেপ্তার সায়েদুল হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তবে চাচা ফজলুর এখনো কারাগারে।

প্রতিবেশী এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রায় দুই মাস আগে স্থানীয় মসজিদে এক চিকিৎসকের সঙ্গে মায়েশার বিয়ে হয়েছিল। বরের বাড়ি শুনেছিলেন ঢাকায়। এখন শুনছেন বর চিকিৎসক সোহেল তানজিমের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। বিয়ের পর তাঁদের আর গ্রামে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার মায়েশা ইসলামের পরিবারের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারি আছে। তিনি স্থানীয় লোকজনকেও সন্দেহভাজনদের প্রতি সজাগ থাকার অনুরোধ জানান।