রাজবাড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ, ইউপি সদস্য আটক
রাজবাড়ী-২ (পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হকের নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ইউপি সদস্যের নাম জাকির হোসেন ওরফে হিরু। তিনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। অভিযোগকারী নুরে আলম সিদ্দিকী দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নুরে আলম সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুরে আমার পক্ষে রতনদিয়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছিল। ভ্যানে মাইকও ছিল। কিন্তু দুইটা না বাজায় মাইক বন্ধ রাখা ছিল। রতনদিয়া বাজারে আমার লিফলেট বিতরণের সময় ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের নেতৃত্বে আরও দুই-তিনজন সেখানে উপস্থিত হন। জাকির আমার সমর্থকের কাছ থেকে লিফলেট নিয়ে ফেলে দেন এবং তাঁকে চড়থাপ্পড় দিয়ে রতনদিয়া বাজার থেকে তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনার পর আমি বিষয়টি প্রশাসনকে জানাই।’
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের পর এক ইউপি সদস্যকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী-২ আসনে মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন মো. জিল্লুল হাকিম (নৌকা), নুরে আলম সিদ্দিকী হক (ঈগল), শফিউল আজম খান (লাঙ্গল), এস এম ফজলুল হক (সোনালি আঁশ), আবদুল মতিন মিয়া (মশাল) ও আবদুল মালেক মণ্ডল (ছড়ি)।
আসনের ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার ৫ লাখ ২৮ হাজার ৩১৯। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯। নারী ভোটার ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৭। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন তিনজন। ১৯৪টি স্থায়ী ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ২৩৬টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।