মাগুরায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে ছাত্রদল নেতাসহ তিনজন নিহত

মেহেদী হাসান
ছবি: প্রথম আলো

মাগুরায় আজ রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষে ছাত্রদলের নেতাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান (রাব্বি) । তাঁর বাড়ি পৌরসভার পারনান্দুয়ালী এলাকায়। আরেক জন হলেন ফরহাদ হোসেন (২২)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।

দুপুর ১২টার দিকে মহম্মদপুর থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান সুমন শেখ (১৮) নামের এক তরুণ। তিনি উপজেলার বালিদিয়া গ্রামের কান্নু শেখের ছেলে।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের পরিচালক মহসিন উদ্দিন জানান, দুপুর আনুমানিক ১২টার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তাঁর শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। গুলিবিদ্ধ ফরহাদকে দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে আনা হয়। দুপুর সোয়া তিনটার দিকে তিনি মারা যান। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি পালন করতে আন্দোলনকারীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে উপস্থিত হন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পর শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপি–ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। অন্যদিকে ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ডে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা ছিলেন। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মেহেদী হাসান গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।

আন্দোলনকারীরা আজ সকালে মহম্মদপুর উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হয়ে মিছিল করেন। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে মহম্মদপুর থানা এলাকায় আসেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সুমন শেখ।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৌমেন সাহা জানান, মৃত অবস্থায় এক তরুণের মরদেহ হাসপাতালে এনেছিলেন কয়েকজন। পরে তাঁরা মরদেহ নিয়ে গেছেন। প্রায় ৪০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঠাকুর দাস মন্ডল প্রথম আলোকে বলেন, আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজ, বাজার ও থানা এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে। থানায় হামলা হয়েছিল। হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত বলতে পারছি না।