রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাহিয়া মাহি
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।
গত সোমবার দুপুরে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মাহিয়া মাহির পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তাঁর এক আত্মীয়। মাহিয়া মাহি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (নাচোল-গোমস্তাপুর-ভোলাহাট) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি। শেষমেশ তিনি তাঁর নানাবাড়ির আসনে (রাজশাহী-১) স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। তানোর শুধু তাঁর নানাবাড়ি নয়, এখানেই তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। তিনি এখানকার মানুষ।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর মাহিয়া মাহি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র বললেই আমার মনে কষ্ট লাগে। কারণ, আমি মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শকে লালন করি। তাঁর নৌকাকে নিজের নৌকা মনে করি। এবার প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো এলাকায় যাতে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত না হন। তিনি বলেন, “আমাদের আশপাশে যারা ছোট ছোট দল আছে, হোক অন্য যেকোনো দল, তাদের যেন উৎসাহ দিই। আপনারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।” যেহেতু রাজশাহী-১ আসনে মোটামুটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ আছে। তাই আমার মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দেখানো নির্দেশে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করার চেষ্টা করব।’
সাংবাদিকেরা একাধিক প্রার্থী থাকার বিষয়টি জানালে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘মনোনয়নপত্র তো অনেকেই কিনবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কতজন থাকতে পারবেন সেটি হচ্ছে বিষয়। যদি দেখা যায় একাধিক প্রার্থী আছেন। তখন আলোচনা করে দেখবেন। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেন না হয় শেষ পর্যন্ত। কারণ, এটা যাচাই-বাছাইয়ের বিষয় আছে। দেখা গেল, কেউ ছুটে গেল। এ জন্য তিনি এখানে অংশ নিচ্ছেন।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন, সেখানে নির্বাচন না করে রাজশাহীতে করার কারণ জানতে চাইলে মাহি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনেক প্রার্থী আছেন। সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হচ্ছে না। রাজশাহীর এই আসনে তাঁর নানাবাড়ি। এখানে তাঁর বেড়ে ওঠা। নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি এলাকার মানুষকে সম্মান দেবেন। কেউ ভয় পাবেন না—এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন।
এখনো প্রচার-প্রচারণা শুরু করেননি মাহিয়া মাহি। তবে বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠান করার কথা জানালেন তিনি। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় বাধা পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি।’
‘ভালোবাসার রং’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউড পেয়েছিল চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে। ১১ বছরে চলচ্চিত্রের নানা অলিগলি পেরিয়ে মাহিকে দেখা গেছে রাজনীতির মাঠেও। বেশ কয়েক মাস ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। অংশ নেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে। আভাস পাওয়া যাচ্ছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করবেন। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে তা জমাও দেন। কিন্তু দল তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি।