রাঙামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদ্যাপিত
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাঙামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। ফানুস ওড়ানো ও ধর্মীয় সভার মাধ্যমে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনা করা হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় একযোগে বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপন করা হয়।
রাঙামাটি শহরের রাজবন বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধপূজা, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার বাতি দান, ক্ষমা প্রার্থনা ও বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়।
রাজবন বিহারে আয়োজিত ধর্মীয় সভায় মধু চন্দ্র চাকমার পরিচালনায় উদ্বোধনী ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ সময় পঞ্চশীল পাঠ করেন ৬ নম্বর বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা। প্রবারণা পূর্ণিমা অধিষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসা। বিশ্বশান্তি কামনা ও ভগবান বুদ্ধের অহিংসার বাণী সারা বিশ্বে কল্যাণ বয়ে আনুক—এ প্রত্যাশায় বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান।
ধর্মীয় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী প্রমুখ। বনভান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে ধর্মীয় উপদেশ দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু ভদন্ত জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির। সন্ধ্যায় রাজবন বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারে শত শত ফানুস ওড়ানো হয়।
রাজবন বিহার ছাড়াও যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র, গর্জনতলী পাড়া শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রবারণা পূর্ণিমা উদ্যাপিত হয়েছে। আগামীকাল সোমবার নানিয়ারচরের গর্জনতলী পাড়া শাক্যমুনি বৌদ্ধবিহারে মাসব্যাপী কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু হবে।