পাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের সামনের একটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে বাচ্চু মিয়া নামের ওই দোকানদার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। ৫ জুন রাতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে তিনি দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম মেহেদী হাসান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই আমরা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানো হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
লিখিত অভিযোগে দোকানমালিক বাচ্চু মিয়া দাবি করেছেন, ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান একটি মেয়েকে নিয়ে তাঁর দোকানে আসেন। এরপর তিনি দোকানের পাশে থাকা টংঘরে প্রবেশ করতে চান। এত রাতে টংঘরে যাওয়া যাবে না বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিনি ১৫ থেকে ২০ জনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর দোকানে হামলা করে ভাঙচুর করেন। পরে দোকান কীভাবে খোলা রাখেন, সেটা দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান। এ ঘটনার পর তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি ঘটনার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ বছর ধরে এ এলাকায় ব্যবসা করছি। কোনো দিন কেউ কিছু বলে নাই। ওই ছাত্রলীগ নেতার অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় আমার দোকানে হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে। এখন উল্টো ওই নেতা আমাকে মাদক বিক্রেতা বলে প্রচার করছেন।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই দোকানের সামনে মাদক বিক্রি হয়। তাই লোকজন দোকানটি ভেঙে দিয়েছে। সেখানে কোনো অনৈতিক কাজ করা হয়নি। তিনি ওই হামলার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন।