সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন এবং আজ শনিবার এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. হান্নান (৪০) ও দেড় বছরের শিশু সুমাইয়ার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে চিকিৎসাধীন শিশু-নারীসহ চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
হান্নান শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার গজনাপুর গ্রামের মো. মোতালেব শিকদারের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী শান্তিবাগ এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তিনি দিনমজুর ছিলেন। শিশু সুমাইয়ার বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালপুকুল গ্রামে ।
চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হান্নান ও সুমাইয়ার শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল রাতে হান্নান এবং আজ সকালে সুমাইয়া মারা গেছে। চিকিৎসাধীন চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজন হলেন সুমাইয়ার বাবা সোহাগ ও মা রূপালী আক্তার, এবং হান্নানের স্ত্রী লাকী বেগম (৩০) ও ছেলে সাব্বির (১২)।
সুমাইয়ার চাচা রুবেল আলী প্রথম আলোকে বলেন, তার ভাতিজি সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার ভাই-ভাবির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মরদেহ মর্গে আছে। শুরুতে চিকিৎসায় বাড়িওয়ালা সহযোগিতা করলেও এখন কল ধরছেন না।
রুবেল আলী বলেন, ‘বাড়িওয়ালা আমাদেরকে বলছে মীমাংসা করেন, মামলা না করতে আমাদেরকে চাপ দিচ্ছেন। আমরা স্বজন হারিয়েছি আমরা কী মীমাংসা করব?’
গত সোমবার গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী শান্তিবাগ এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের মালিকানাধীন বাড়িতে গ্যাসের পাইপলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ওই বাড়ির দুটি রুমে আগুন ধরে যায়। ভাড়াটিয়া দুটি পরিবারের শিশু-নারীসহ আটজন দগ্ধ হন।