দুর্গাপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের ঘটনায় মামলা
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এর আগে গত বুধবার রাতে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকা ২৭ বস্তা চাল জব্দ করে সেনাবাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭ বস্তায় ১ হাজার ৯০ কেজি চাল গত বুধবার রাত ১১টায় পাচারের উদ্দেশ্যে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সরকারি সিলযুক্ত এসব বস্তা বড় আরেকটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরা ছিল। এ সময় স্থানীয় লোকজন সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানায়। পরে সেনাসদস্যরা অভিযান চালালে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় থেকে দুই ব্যক্তি সাঁতরে তীরে উঠে পালিয়ে যান। পরে বস্তাগুলো জব্দ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল রাতে উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক মাহমুদা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে ক্রেতা ও মুন্সিপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়া ও নৌকার মালিক সুলতান মিয়াকে আসামি করা হয়।
তবে নেত্রকোনা সেনা ক্যাম্পের মেজর জিসানুল হায়দার গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সেনাবাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এসব চাল গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের ডিলার (পরিবেশক) শাহজাহান মিয়া এবং একই ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামের ক্রেতা সিদ্দিক মিয়া পাচার করছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশক ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান মিয়ার প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না। হয়তো সুবিধাভোগীরা চাল কিনে ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিতে পারে।’ এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন। আর সিদ্দিক মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ডিলার দোষী হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।