ফরিদপুরে বরকত–রুবেলের পুড়ে যাওয়া ৬ বাসে আবার আগুন

অর্থ পাচার মামলায় জব্দ করা ৬টি বাস আগুনে পুড়ে গেছে। আজ সোমবার ফরিদপুর সদর উপজেলার বদরপুরেছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরে অর্থ পাচার মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেন (বরকত) ও তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসানের (রুবেল) জব্দ করা ছয়টি বাসে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফরিদপুর শহরের বদরপুর এলাকার অবস্থিত এলজিইডি কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে এই বাসগুলো রাখা ছিল।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১১টার দিকে আগুন নেভায়। এর আগেও এসব বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

আরও পড়ুন

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ই প্রথম আলোকে বলেন, ওখানে আগে পুড়ে যাওয়া বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস রাখা ছিল। তার মধ্য থেকে ছয়টি বাস পুড়ে গেছে। কীভাবে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটল, তা চিহ্নিত করা যায়নি। রহস্যজনক বিধায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

প্রসঙ্গত, সাজ্জাদ হোসেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ইমতিয়াজ হাসান ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ২০২০ সালের ১৬ মে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৮ মে মামলা করেন সুবল সাহা। এ ঘটনার জের ধরে ২০২০ সালের ৭ জুন পুলিশের বিশেষ অভিযানে বরকত-রুবেল গ্রেপ্তার হন। ২৬ জুন বরকত রুবেলের নামে ঢাকার কাফরুল থানায় আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি।

ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়
ছবি: প্রথম আলো

অর্থ পাচার মামলায় আদালতের মাধ্যমে বরকত ও রুবেলের ২২টি যাত্রীবাহী বাস আলামত হিসেবে জব্দ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। জব্দ করা বাসগুলো রক্ষণাববেক্ষণের দায়িত্বে ছিল জেলা পুলিশ। এ বাসগুলো প্রথমে শহরের গোয়ালচামট মহল্লায় সাজ্জাদ হোসেনের মালিকানাধীন জায়গায় রাখা হয়। বাসগুলোর মধ্যে ১০টি শেড দিয়ে ঘেরা ছিল এবং ১২টি ওই জায়গার পাশে নিচু ভূমিতে রাখা ছিল।
২০২২ সালের ১২ মার্চ রাত দেড়টার দিকে ওই ২২টি বাসের মধ্যে ১২টি বাস পুড়ে যায়।

ওই ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই আবদুল গফফার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে একটি মামলা করেন। এরপর বরকতের পরিবারের পক্ষ থেকে পোড়া বাসসহ বাকি বাসগুলো এলজিইডি অফিসের পাশে বরকতের অফিসসংলগ্ন বর্তমান জায়গায় রাখা ছিল।

আরও পড়ুন