সুনামগঞ্জে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর কাছে গতকাল রোববার বিকেলে এ অভিযোগ দেন সদর উপজেলার প্রার্থী ও যুবলীগ নেতা ফজলে রাব্বী (স্মরণ)। তবে অভিযোগটিকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত নুরুল হুদা।
অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এগুলো মনগড়া অভিযোগ, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো কোনো কাজ করিনি। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, জেলা পরিষদের কোনো কর্মী নির্বাচনের কাজ করছে না। জেলা পরিষদের হলরুম একটি সংগঠন ভাড়া নিয়ে সভা করেছে; এটা যে কেউ করতে পারে। এখানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু নেই।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী। তাঁরা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা (চপল), যুবলীগ নেতা ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ সাবেক ভিপি মনিষ কান্তি দে (মিন্টু) এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী।
খায়রুল হুদার বড় ভাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা; মনিষ কান্তি দের বড় ভাই মানিক দে জেলার বিশিষ্ট আইনজীবী ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এবং ফজলে রাব্বীর মা শামসুন্নাহার বেগম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।
নুরুল হুদা জেলা পরিষদের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে তাঁর ভাই খায়রুল হুদার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন। তাঁর উপস্থিতিতে জেলা পরিষদের হলরুমে একটি নির্বাচনী সভাও করেছেন।ফজলে রাব্বী, চেয়ারম্যান প্রার্থী
ফজলে রাব্বী তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, নুরুল হুদা জেলা পরিষদের সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে তাঁর ভাই খায়রুল হুদার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন। তাঁর উপস্থিতিতে জেলা পরিষদের হলরুমে একটি নির্বাচনী সভাও করেছেন। ওই সভায় জাতীয় পার্টি খায়রুল হুদাকে সমর্থন দিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তিনি (নুরুল হুদা) ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিভিন্ন স্থানে জেলা পরিষদের সরকারি অর্থে অনুদানের ঘোষণা দিচ্ছেন। নুরুল হুদা সুনামগঞ্জের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি তাঁর ভাইকে জোর করেই নির্বাচনে জয়ী করবেন, এমন প্রচার চালাচ্ছেন। এ জন্য ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।