নেত্রকোনায় গৃহবধূ ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আটক

আটকপ্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার পূর্বধলায় নিজ বাড়ি থেকে এক গৃহবধূ ও তাঁর সাত বছরের মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে তাঁকে আটক করা হয়।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে থানা-পুলিশ উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের চুরাটিয়া গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে।

মারা যাওয়া রূপালী আক্তার ও তাঁর মেয়ে রুবাইয়া তাবাসসুম ওই গ্রামের মো. মোস্তাকিনের স্ত্রী ও মেয়ে। মোস্তাকিম ময়মনসিংহের ভালুকায় ফায়ার সার্ভিসের সেপাই হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে তিনি প্রেষণে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা রয়েছে, মৃত ব্যক্তিদের শরীরে একাধিক স্থানে আগুনে পোড়া ও কালো দাগের চিহ্ন রয়েছে। তবে মারা যাওয়া রূপালী আক্তারের বাবা আবদুর রশিদের দাবি, রূপালীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর কথা বলছেন। তবে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।রূপালীর স্বামী মোস্তাকিম আটক হওয়ার আগে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেছিলেন, ‘আমার স্ত্রী ও মেয়ের বিদ্যুৎপৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের কেব্‌ল এনে খাটের পাশে ফোন চার্জ দিচ্ছিল। তা থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে।’ লাশ দুটির পাশে তাঁর দুই বছরের মেয়েটি কাঁদছিল। এক প্রশ্নের জবাবে মোস্তাকিম বলেন, ছোট মেয়ে মনে হয় একটু দূরে ছিল। ফলে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়নি।’

এ ব্যাপারে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘রূপালীর ডান হাতে আগুনের পোড়া দাগ, দুই পায়ের গোড়ালির ওপরে ও দুই হাতের কবজির ওপরে কালো দাগ রয়েছে। তাঁর মেয়ের শরীরেও একই ধরনের দাগ পাওয়া গেছে। সিআইডি ও পূর্বধলা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ছাড়া বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রূপালীর স্বামী মোস্তাকিমকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’