দিনাজপুরে মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ, তরুণের গ্রেপ্তার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
দিনাজপুরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে এক তরুণের গ্রেপ্তার দাবি করে মহাসড়ক অবরোধ হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সদর উপজেলার মোহনপুর এলাকায় দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় লোকজন। এতে সড়কের দুই পাশে আট শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত অবরোধ চলে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা শহর জামায়াতের আমির সিরাজুস সালেহীন, হেফাজতে ইসলামের নেতা মতিউর রহমান কাসেমী, স্থানীয় ব্যক্তি খাদেমুল, আকবর রহমান, শিক্ষক ইমামুল হক প্রমুখ।
ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করা সদর উপজেলার ওই তরুণের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা। ওই তরুণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যাওয়ায় অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
গতকাল শনিবার মহাসড়ক অবরোধের ঘোষণা দেন স্থানীয় লোকজন। আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় সহস্রাধিক মানুষ। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে নিয়ে বিভিন্ন সময় কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে কিছু উগ্রবাদী। সেসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করেনি তৎকালীন সরকার। স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নিয়েছে, কিন্তু এখনো মহানবী (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করা হচ্ছে। এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। কয়েক দিন ধরে ওই তরুণকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হলেও প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। এ জন্য আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে থানায় একটি মামলা হয়েছে। কটূক্তিকারী ওই তরুণসহ পরিবারের সবাই পলাতক। আমরা তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ওসি প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত তরুণের সঙ্গে একটি ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁর এক শিক্ষকে আটক করা হয়েছে। দ্রুত ওই তরুণকে আটক করার আশ্বাস পেয়ে অবরোধকারীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।