লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্রে মঙ্গলবার রাত থেকে মহা অষ্টমীর স্নানোৎসব
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে মঙ্গলবার রাতে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী স্নানোৎসব। রাত ৯টা ১৭ মিনিট ৩ সেকেন্ডে স্নানের লগ্ন শুরু হবে। শেষ হবে আগামীকাল বুধবার রাত ১০টা ৪৭ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে। স্নানোৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। আয়োজকদের দাবি, এবার দেশ-বিদেশ থেকে ১০ লাখের বেশির পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটবে।
যেসব ঘাটে পুণ্যার্থীরা স্নান করতে পারবেন সেগুলো হলো, ললিত সাধুর ঘাট, অন্নপূর্ণা মন্দিরঘাট, নাসিম ওসমান ঘাট, গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর মন্দির রাজঘাট, কালীগঞ্জ ঘাট, মাকরী সাধুর শান্তি আশ্রমঘাট, মহাত্মা গান্ধীর শশ্মানঘাট, ভদ্রেশ্বরী কালীমন্দির ঘাট, জয়কালী মন্দিরঘাট, রক্ষাকালী মন্দিরঘাট, পাষাণকালী মন্দিরঘাট, স্বামী দ্বিগিজয় ব্রহ্মচারীর আশ্রম, চর শ্রীরামপুর ব্রহ্মাঘাট, দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি ঘাট, মীরকুণ্ডী পরেশ সাধুঘাট, সাবদী রক্ষাকালী ঘাট, তাজপুর-জহরপুর মুনিঋষিপাড়া ঘাট ও লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমঘাট।
স্নানোৎসব কেন্দ্র করে ব্রহ্মপুত্র নদের কচুরিপানা পরিষ্কার করা হয়েছে, ঘাটগুলো বাঁধাই করা হয়েছে। প্রস্তুতির অন্যান্য কাজ সারা হচ্ছে। নারী পুণ্যার্থীদের কাপড় বদলানোর জায়গা, গভীর নলকূপ ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা।
এবার স্নান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন লাঙ্গলবন্দ স্নান উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ১৮টি ঘাটে পুণ্যার্থীদের জন্য স্নানের আয়োজন করা হয়েছে। নারীদের কাপড় বদলানোর শতাধিক জায়গা তৈরি করা হয়েছে। গত বছর দেশ-বিদেশ থেকে স্নানে অংশ নিতে ১০ লাখ পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটেছিল। এবার পুণ্যার্থীদের সমাগম বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যবারের চেয়ে এবারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, স্নানোৎসব ঘিরে পোশাক, সাদাপোশাকেসহ মোট ১ হাজার ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণের জন্য ৭টি ওয়াচ টাওয়ার ও ৫০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, কেউ যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করতে না পারে, এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় তৎপর আছে। পুণ্যার্থীরা যাতে স্নান সম্পন্ন করে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যানজট নিরসনে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।