নেত্রকোনায় বিএনপির শোকমিছিলে হামলার আট বছর পর মামলা
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বিএনপির শোকমিছিলে ও দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনার আট বছর পর মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া পৌর শহরের বাদে আঠারবাড়ী এলাকার জামাল উদ্দিন নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন।
কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আসাদুল হক ভূঁইয়াসহ ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছে।মমলার প্রধান আসামি আসাদুল হক ভূইয়া। আর এই মামলার ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে কেন্দুয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদিরকে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৫০ জনকে।
পুলিশ ও স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ২০১৬ সালের ৩০ মে কেন্দুয়ায় শোকমিছিল বের করে উপজেলা বিএনপি। মিছিলটি পৌর শহরের জয় হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের কাছে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দৌড়ে দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে ফটক আটকে দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ফটক ভেঙে কার্যালয়ে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালান। একপর্যায়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম হিলালীর জামার কলার ধরে তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যকরী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলামের গাড়িচালক জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। এ নিয়ে ১৭ আগস্ট থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নেত্রকোনায় ১০টি থানায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৪০টি মামলা হলো।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে আমাকে ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. রফিকুল ইসলাম হিলালীকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন। ওই সময় পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় আইনের আশ্রয় নেওয়া যাচ্ছিল না। এখন আশা করছি সুবিচার পাব।’
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধান আসামি আসাদুল হক ভূঁইয়া অন্য মামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।