মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এলেন আরও ১১৪ জন, সেনাসদস্যও রয়েছেন
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন আরও ১১৪ জন। তাঁদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাসদস্য, সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)–এর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা আছেন।
এ নিয়ে গত রোববার থেকে দেশটির মোট ২২৯ জন পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, যাঁদের বেশির ভাগ বিজিপির সদস্য।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে নতুন করে মিয়ানমার থেকে বিজিপি, সেনা ও সরকারি কর্মকর্তাদের পালিয়ে আসার ঘটনা ঘটে। তাঁদের রহমতবিল বিজিবি ফাঁড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সূত্র জানিয়েছে, যে ১১৪ জন আজ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যই নন, দেশটির সেনাসদস্য, শুল্ক কর্মকর্তা ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাও রয়েছেন। বিজিবি হেফাজতে তাঁদের সবার পরিচয় নেওয়ার কার্যক্রম এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছিল।
এদিকে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত অনেক তীব্রতর হয়ে উঠেছে। বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে সীমান্ত এলাকা।
এ পরিস্থিতিতে আজ সকালে রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে একে একে অনেক বিজিপির সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের বিজিবির সদস্যরা পালিয়ে আসাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা নিয়ে ফাঁড়িতে রেখেছেন।
গফুর উদ্দিন আরও জানান, আজ ভোরে একই সীমান্ত দিয়ে ৮ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছেন। এসব রোহিঙ্গাও বিজিবির হেফাজতে।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, রোববার থেকে আশ্রয় নেওয়া বিজিপির সদস্যদের মধ্যে অনেকেই আহত।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৯ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান।