আহত বানরটি আবারও হাসপাতালে, এবার চিকিৎসা দেবেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া আহত সেই বানরটি আবারও হাসপাতালে এসেছে। আজ সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে হাসপাতালের মূল ফটকে চলে আসে বানরটি। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুরুদ্দিন রাশেদ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তৃতীয় দিনের মতো বানরটিকে চিকিৎসাসেবা দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, সকাল পৌনে ৯টার দিকে হাসপাতালের গেটে অবস্থান করছিল বানরটি। পরে গতকাল রোববারের ব্যান্ডেজ খুলে আবার নতুন করে বানরটিকে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শেষে বানরটি আবারও বাগানের দিকে চলে যায়। সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে তিনি ফোনে বিষয়টি জানান।
সরেজমিন দেখা যায়, ড্রেসিং করার ওষুধপত্র নিয়ে আসার পর বানরটি স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে চলে আসে। ব্যান্ডেজ খুলে নতুন করে ওষুধ লাগানোর সময় চুপচাপ হাসপাতালে সিঁড়ির রড ধরে বসে ছিল বানরটি। ড্রেসিং করা শেষ হলে আবারও ধীরে ধীরে বাগানের দিকে চলে যায় সে। এ সময় হাসপাতালে আসা রোগীরা বানর দেখতে ভিড় করেন। বানরটির ছবি তুলতেও দেখা গেছে অনেককে।
সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী ও পশু চিকিৎসকদের একটি দল। তখনো বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি।
প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা বানরটির চিকিৎসা দিতে আসেন। কিন্তু বানরটিকে ধরে দেওয়ার দায়িত্ব বন বিভাগের কর্মকর্তাদের। তাঁরা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই অবস্থায় বানরটির চিকিৎসা করা যাবে না। বন্দী করে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় আসে বানরটি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় ও বন বিভাগকে বিষয়টি জানায়। গতকাল বন বিভাগ কিংবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের পশু চিকিৎসকেরা কেউ বানরটির চিকিৎসা করতে এগিয়ে আসেননি। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে বানরটি আবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে। তখন সেখানকার চিকিৎসকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেন।