দাগনভূঞায় শ্বশুরের মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পর মারা গেলেন পুত্রবধূও
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর সাত ঘণ্টার মাথায় তাঁর পুত্রবধূরও মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই পরিবারে মাতম চলছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর আলীপুর গ্রামের মো. বেলায়েত হোসেন (৬৫) ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের কারণে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে পাঁচটার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ বাড়িতে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বেলায়েত হোসেনের মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই তাঁর বড় ছেলে ওমানপ্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার (২৬) বিলাপ করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বশুরের লাশ বাড়ি থেকে কবরস্থানে নেওয়ার পথেই পুত্রবধূ কোহিনূরের বুকে ব্যথা ওঠে। বাড়ির লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ রোববার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ওমানপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন দেশের পথে রওনা হন। কিন্তু পথেই স্ত্রীর মৃত্যুর খবরও শুনতে পান। এতে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
স্বজনেরা জানান, কোহিনূর আক্তারও দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর দুই মেয়ে, দুজনই এখনো শিশু। বড় মেয়ে ফাতিহা নুরের বয়স পাঁচ বছর, আরেক মেয়ে ফাইজা নুরের বয়স মাত্র তিন বছর। কোহিনুরের বাবার বাড়ি ফেনী সদর উপজেলার মধুয়াই গ্রামে।
এদিকে বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ওমানপ্রবাসী আনোয়ার হোসেন দেশের পথে রওনা হন। কিন্তু পথেই স্ত্রীর মৃত্যুর খবরও শুনতে পান। এতে তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল মামুন বলেন, ঘটনা শুনে তিনি ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। একই সঙ্গে পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক।