হরিরামপুরে নিজের ঘরে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শাশুড়ি আটক
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় স্মৃতি সরকার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ স্মৃতি যাত্রাপুর গ্রামের সঞ্জিত সাহার স্ত্রী। তাঁদের সংসারে রঞ্জিত সাহা নামে দুই বছরের একটি সন্তান আছে।
পুলিশ, পারিবারিক এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছরে আগে স্মৃতি সরকারকে বিয়ে করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক সঞ্জিত সাহা। পারিবারিক নানা বিষয়ে দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলেও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে সঞ্জিত রিকশা নিয়ে কাজে বের হন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঘরের ভেতর খাটের ওপর স্মৃতির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির লোকজন। পরে খবর পেয়ে সঞ্জিত বাড়িতে আসেন। এর পর রাত ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্মৃতির লাশ উদ্ধার করে জেলা সদরের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্মৃতির মামাতো ভাই লোকেশ সরকার অভিযোগ করেন, গতকাল বিকেলে স্মৃতিকে তাঁর স্বামী সঞ্জিত মারধর করেন। স্বামীর মারধরেই স্মৃতি মারা যান। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্নও আছে।
স্মৃতির মা রানী দাস বলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঝগড়া করতেন। মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। কয়েক মাস আগে ঝগড়া করে বাবার বাড়িতে চলে যান স্মৃতি।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মজিবুর রহমান বলেন, ওই গৃহবধূর নাকের নিচ সামান্য আঘাতের চিহ্ন আছে। তাঁর স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলার প্রস্তুতি চলছে।