নাটোরে মসজিদে বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

নাটোর জেলার মানচিত্র

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় মসজিদের বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা নিয়ে দুই মুসল্লির মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষের জেরে বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের কেচুয়াকোড়া টলটলিপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে প্রথমে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টলটলিপাড়া জামে মসজিদে গতকাল বৃহস্পতিবার এশার নামাজ পড়তে গিয়ে বৈদ্যুতিক সুইচ বন্ধ করা নিয়ে মুসল্লি আফসার হোসেন (৬৫) ও জব্বার আলীর (৬০) মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি ও পরে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ সকাল পৌনে সাতটার দিকে জব্বার আলী ও তাঁর পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আফসার হোসেনের লোকজনের ওপর হামলা করে। এতে সাব্বির হোসেন (১৬), খাইরুল ইসলাম (৩২), বক্কার হোসেন (৫০), মিলন হোসেন (১৮) ও ইমাম হোসেন (৫০) আহত হন। পরে আফসার হোসেনের লোকজন জব্বার আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। এ সময় বাধা দিতে এলে আহত হন আরও তিন থেকে চারজন।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। হোসেন আলীর ছেলে সাব্বির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।