লোহার দণ্ড ভেবে মর্টার শেল বিক্রি করতে ভাঙারি দোকানে নারী
লোহার দণ্ড ভেবে ভাঙারি দোকানে মর্টার শেল বিক্রি করতে গিয়েছিলেন এক নারী। সেখানে উপস্থিত ব্যক্তিরা বস্তুটিকে মর্টার শেল বলে জানান। এতে ভয় পেয়ে দোকানের সামনেই মর্টার শেলটি ফেলে রেখে চলে যান ওই নারী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটিকে বালু দিয়ে ঢেকে রাখে।
আজ রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মরিচা ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মর্টার শেলটি বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় ভারত থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. বুলবুল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মরিচা ধরা মর্টার শেলটি সম্ভবত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে। পরে সেটি কোনো পাথরের স্তূপের পাশে হয়তো পড়ে ছিল। সেখান থেকে বস্তুটিকে এক নারী কুড়িয়ে পেয়ে লোহার দণ্ড ভেবে ‘আল আমিন ওয়ার্কশপ’ নামের একটি ভাঙারি দোকানে বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। পরে দোকানদারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা সেটিকে বোমা (মর্টার শেল) বললে ওই নারী সেটি ফেলে রেখে ভয়ে পালিয়ে যান। পরে আর ওই নারীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মো. বুলবুল বলেন, বিষয়টি জানার পর তেঁতুলিয়া মডেল থানা–পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে ওই দোকানের পাশে মর্টার শেলটিকে বালু ঢেকে দিয়ে রেখেছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুজয় কুমার রায় বলেন, বিষয়টি সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মর্টার শেলটির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের সিপাইপাড়া বাজারে ‘মেসার্স রুপা ট্রেডার্স’ নামের একটি ভাঙারি দোকানে আরও একটি মর্টার শেল পাওয়া গিয়েছিল। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সেটিকে ধ্বংস করে।