বরগুনায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে যা বললেন বিএনপি নেতার ছেলে
বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবদুর রশিদ মিয়াকে প্রকাশ্যে হেনস্তা করার ঘটনায় বিএনপি নেতার ছেলে শাওন মোল্লা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘লাইভ’ করে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করে তিনি কোনো ভুল কাজ করেননি বলে উল্লেখ করেছেন।
শাওন মোল্লা বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ওরফে ফারুক মোল্লার ছেলে ও কেন্দ্রীয় সহশ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ-উজ-জামানের চাচাতো ভাই।
গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে তিনি ফেসবুক লাইভে আসেন। এ সময় শাওন এ ঘটনায় তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। ফেসবুক লাইভে শাওন মোল্লা বলেন, ‘আমি কোনো বয়স্ক লোকের সঙ্গে বেয়াদবি করিনি। আমি কেন আইন হাতে তুলে নিলাম বা কেন এমন আচরণ করলাম, তার উত্তর দিতেই এ ফেসবুক লাইভে আসা।...আবদুর রশিদ আমার দলের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আমাদের নেতা তারেক রহমান, আরাফাত রহমান সম্পর্কে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাই শহীদ জিয়ার একজন সৈনিক হিসেবে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারিনি। তাই বয়স বিবেচনায় একজনের...গায়ে হাত তোলা যদি অন্যায় হয় তবে আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাই।’
রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শাওন মোল্লা প্রকাশ্যে বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আবদুর রশিদকে হেনস্তা করেন। এই হেনস্তার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তা করার পর রোববার দুপুরে শাওন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দলের একজন নেতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাঁকে আমি মারধর করি। এ ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার বাবার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।’
আবদুর রশিদ এসব অভিযোগকে অমূলক দাবি করে বলেন, ‘...আমি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে বিএনপির নেতা ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিল। আমাকে শাওন ডেকে বাইরে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে নানা ভাষায় গালাগালি করে, হেনস্তা করে। সেখানে অনেক লোক ছিল। আমি এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেব।’