পঞ্চগড়ে বিএসএফের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে কৃষক আহত, পতাকা বৈঠকে অস্বীকার

সীমান্ত
প্রতীকী ছবি

পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের কাকপাড়া এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে আজিজার রহমান (৪২) নামের এক কৃষক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে কাকপাড়া এলাকার মেইন পিলার ৪২২-এর সাব পিলার ২৪-সংলগ্ন করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

তবে এ ঘটনায় ডাকা পতাকা বৈঠকে বিএসএফ বিষয়টি অস্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আহত আজিজার রহমান কাকপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন কৃষক ও পাথরশ্রমিক বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন

সাতমেরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সকালে অন্যান্য শ্রমিকের সঙ্গে আজিজার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা করতোয়া নদীতে বোরো ধান রোপণ করতে যান। দুপুরে হঠাৎ একজন বিএসএফ সদস্য তাঁর দিকে একটি বোমাসদৃশ বস্তু ছুড়ে মারেন। এতে বিকট শব্দ হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান তিনি। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। এর পর থেকে তিনি বাড়িতেই আছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি মীরগড় বিওপির বিজিবি সদস্যদের জানান। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের ৯৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বর্মণবস্তি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক ডাকেন। বিকেল পাঁচটায় বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএসএফের কোনো সদস্য এমন ঘটনা ঘটাননি বলে দাবি করা হয়।

আরও পড়ুন

বিজিবির মীরগড় বিওপির কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার শেখ মনিরুজ্জামান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই কৃষকের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড হামলার বিষয়টি জানার পর তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফের বর্মণবস্তি ক্যাম্পের সদস্যদের সঙ্গে পতাকা বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে তাঁরা এ ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করেন।

সন্ধ্যায় আহত আজিজারের ভাই দিদার আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ভাই বোরো ধানের চারা লাগাতে নদীতে গিয়েছিলেন। তখন বিএসএফ নাকি তাঁকে লক্ষ্য করে ককটেল বা বোমা ছুড়ে মেরেছে। এতে কপাল, মুখসহ শরীরে সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তিনি এখন বাড়িতেই রয়েছেন।’