হবিগঞ্জ-৪ ও সিলেট-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা আওয়ামী লীগের দুই নেতার

সৈয়দ সায়েদুল হক ও সরওয়ার হোসেন (ডানে)
ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) ও সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দুই নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঠেকাতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি আসনে দলের বিকল্প প্রার্থী রাখার নির্দেশনা দেওয়ায় তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

এই দুই নেতা হলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আইন সম্পাদক সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে সুমন এবং কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন। গতকাল রোববার বিকেলে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই এই দুই নেতা স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। সায়েদুল হককে ‘ব্যারিস্টার সুমন’ নামে সারা দেশের মানুষ চেনেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অসংগতির বিরুদ্ধে কথা বলে প্রায় সময় আলোচনায় থাকেন।

আরও পড়ুন

হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।  সায়েদুল হক এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এখন তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাহবুব আলীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

সিলেট-৬ আসনে আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। সরওয়ার হোসেন এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি নুরুল ইসলাম নাহিদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

আরও পড়ুন

যোগাযোগ করলে সৈয়দ সায়েদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। এলাকার ইতিহাসটা আমি বদলাতে চাই এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে চাই। এ কারণেই প্রার্থী হচ্ছি। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার কারণেই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছি।’

এদিকে সরওয়ার হোসেন বলেন, ‘১৫ বছর ধরে এলাকার মানুষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। বন্যা-করোনাসহ সব সংকটে মানুষের পাশে আছি। এত দিন যেহেতু মানুষের সঙ্গে আছি, তাই বাকি জীবনটুকুও মানুষের সঙ্গে কাটানোর নিয়ত করেছি। এ অবস্থায় এলাকার মানুষের চাপে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিই। আর যেহেতু আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হতে হবে, সেটাও প্রার্থী হওয়ার একটা কারণ।’

আরও পড়ুন

হবিগঞ্জ-৪ আসনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহবুব আলী আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় পান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

অন্যদিকে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন নুরুল ইসলাম নাহিদ। পরে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন। তবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর টানা দুই দফা তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন