‘মানুষ আবারও ভোট ভোট খেলাকে প্রত্যাখ্যান করেছে’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও লুটেরা, মাফিয়া আর দুর্বৃত্তদের দখলে পর্যবসিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতারা। তাঁরা বলেন, দেশের মানুষ ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচনকে যেমন প্রত্যাখ্যান করেছে, তেমনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আবারও ভোট ভোট খেলাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
আজ শুক্রবার রংপুর মহানগরীর সুমি কমিউনিটি সেন্টারে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা তাঁদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ প্রতিনিধি সভায় রংপুর জেলা গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলা সমন্বয়কারী তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফাখখরুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস প্রমুখ।
জোনায়েদ সাকি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন ও নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংকটের কোনো সমাধান হয়নি। বরং রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে সরকার গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। সরকারের দমন করে শাসন করার এই নীতি কৌশল রাজনীতিতে বিরোধ-বিভাজন, প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এই ধারা চলতে দিলে দেশ অনিবার্য বিপর্যয়ের খাদে নিপতিত হবে।
ক্ষমতাসীন দল ও সরকারকে ফ্যাসিবাদী দখলদার উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এই সরকারের পদত্যাগ যত প্রলম্বিত হবে দেশের বহুমাত্রিক সংকট তত বৃদ্ধি পাবে। এই সরকারের অধীনে দেশের গণতন্ত্রের পাশাপাশি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তাও আজ গুরুতর হুমকির মুখে। ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন সংহত ও জোরদার করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মঞ্চের নেতারা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির রংপুর জেলা আহ্বায়ক আমিন বিএসসি, নাগরিক ঐক্যের রংপুর জেলা আহ্বায়ক মহি আজাদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রংপুর জেলা আহ্বায়ক হুমায়ূন কবীর, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রংপুর বিভাগীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, গণসংহতি আন্দোলন রংপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব মুফাখখারুল ইসলাম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন নাগরিক ঐক্যের রংপুর জেলা নেতা রহমতউল্লাহ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের রংপুর জেলা নেতা রায়হান কবীর।