মিয়ানমারের মংডুতে বিস্ফোরণ থামেনি, এপারে আতঙ্ক

নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর। এপারে টেকনাফপ্রথম আলোর ফাইল ছবি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের বিভিন্ন এলাকায় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণ অব্যাহত রয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসায় বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন। এদিকে মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা টেকনাফের জনপ্রতিনিধিদের।

গতকাল সোমবার রাত ১০টা থেকে আজ মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ভেসে আসা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন টেকনাফের বাসিন্দারা। তাঁরা জানান, মিয়ানমারের যেসব এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে, সেখানে মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু টাউনশিপের পেরাংপুরু, কাদিরবিল, হারিপাড়া, মংনিপাড়া, নলবন্ন্যা, সুদাপাড়া, সিকদারপাড়া, নুরুল্লাপাড়া হাসুরাতা ও ফাতংজা গ্রাম অবস্থিত। মর্টার শেল ও শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণের কারণে বিকট শব্দ হচ্ছে বলে দাবি টেকনাফের বাসিন্দাদের।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মিয়ানমারের যেসব এলাকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে, তা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত চলছে। ওই এলাকায় আকাশে যুদ্ধবিমানও উড়তে দেখা যাচ্ছে। সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চেষ্টায় রয়েছেন।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, নাফ নদের একপাশে টেকনাফ, বিপরীত পাশে মিয়ানমারের মংডু। মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে চার মাস ধরে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। ফলে এপারের মানুষ বিস্ফোরণের শব্দে ঘুমাতে পারছেন না। তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার রয়েছে।