নওগাঁ–৬ (রানীনগর ও আত্রাই) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষের প্রচার কার্যক্রম চালানোর সময় আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফার (৫৮) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাঁর পিঠে ধারালো ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি কোপ দিয়েছেন হামলাকারী ব্যক্তিরা। এ সময় হামলাকারীদের একজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনগণ।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে আত্রাই উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আটক ব্যক্তির নাম শামীম হোসেন ওরফে সানী (২৮)। তাঁর বাড়ি নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলায়।
গোলাম মোস্তফা স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুকের নির্বাচনী সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন। এখানে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন।
হামলার তথ্য নিশ্চিত করে আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফা সাহেবগঞ্জ বাজারে অবস্থান করছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পেছন থেকে গোলাম মোস্তফার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গোলাম মোস্তফার পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন শামীম হোসেন নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। আহত গোলাম মোস্তফাকে আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক বলেন, গোলাম মোস্তফা ভোটের শুরু থেকেই তাঁর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। তিনি নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন। আজ সকালে আরও কিছু কর্মী-সমর্থক নিয়ে আত্রাই উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্চিলেন। এ সময় দুই-তিনটি মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। তাঁর পিঠে ধারালো ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকটি কোপ দেওয়া হয়েছে।
ওমর ফারুকের অভিযোগ, ‘হামলাকারীরা নৌকার প্রার্থীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী। কয়েক দিন রানীনগরে প্রচারণা চালাতে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় আমার ছয় কর্মী আহত হন। নাম উল্লেখ করে মামলা করার পরও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা হামলা করেছে, তারা ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহিনী। কে বা কারা তাদের ভাড়া করেছে, পুলিশই ভালো বলতে পারবে। এখন কেউ একটা অভিযোগ করলে করতেই পারেন। কিন্তু সেটার সত্যতা কতটা রয়েছে, সেটা জনগণই বিচার করবেন। আমাদের ভাড়া করে কাউকে মারার কোনো প্রয়োজন নেই।’