ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী হওয়ায় মেহেরপুরে মিষ্টি বিতরণ
মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন নবগঠিত মন্ত্রিসভায় জনপ্রশাসনমন্ত্রী হওয়ায় জেলায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর জেলা শহরে অবস্থিত আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে দলের কর্মী-সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরণ করেন।
সরকারের গত মেয়াদে ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নতুন সরকারে এসে তাঁকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ফরহাদ হোসেনসহ নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠানটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা টেলিভিশনে সরাসরি দেখেন। এরপর কার্যালয়ে উপস্থিত দলীয় কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
মেহেরপুর পৌর শহরের বাসিন্দা ও মুদি ব্যবসায়ী লিয়াকত হোসেন বলেন, ফরহাদ হোসেন এবার পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ায় মেহেরপুরবাসী খুশি। স্বাধীনতার পর ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর থেকে প্রথমবার প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হয়েছেন। জেলার উন্নয়নে তিনি কাজ করেছেন। এবার জনপ্রশাসনমন্ত্রী হওয়ায় মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। জেলার বেকারত্ব ঘোচাতে তিনি অবদান রাখবেন বলে আশা করেন লিয়াকত হোসেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক বলেন, সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এ কারণে তাঁকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে মেহেরপুরের সাধারণ মানুষদের মধ্যে আনন্দ–উল্লাস বিরাজ করছে, সর্বত্র মিষ্টি বিতরণ চলছে।
দলীয় কার্যালয়ে মিষ্টি বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতারা। ফরহাদ হোসেনকে পূর্ণ মন্ত্রিত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন তাঁরা। পরে আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
এবারের নির্বাচনে ফরহাদ হোসেন মেহেরপুর-১ আসনে নৌকা প্রতীকে ৯৪ হাজার ৩০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান ট্রাক প্রতীকে পান ৫৭ হাজার ৬৮২ ভোট।