বঙ্গবন্ধু উদ্যানে রাত্রিযাপনে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী

বিভিন্ন এলাকা থেকে বরিশালে আসা দলটির নেতা–কর্মীরা রাত্রিযাপনের জন্য বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অবস্থান নিয়েছেন। স্লোগানে মুখর এখন ওই এলাকা। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

বৃহস্পতিবার রাত ৮টা। বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশের নির্ধারিত সময়ের ৪২ ঘণ্টা বাকি। এর আগেই কয়েক হাজার নেতা-কর্মী বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সমাবেশের মঞ্চের সামনে টাঙানো শামিয়ানার নিচে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশাল উদ্যান ও চারপাশ। রাত বাড়ছিল, তখনো নেতা-কর্মীরা দলে দলে উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিলেন। অনেকে ত্রিপল বিছিয়ে ব্যাগ নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সবাই দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন।

আরও পড়ুন

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যানের এক পাশে চলছে রান্নাবান্না। বরগুনা ও আমতলী থেকে ট্রাকে চাল, ডাল, গরুর মাংস নিয়ে এসেছেন সেখানকার নেতারা। সেসব রান্নার কাজ চলছে। বিএনপি নেতারা বলেন, সড়ক, নদীপথ বন্ধ করে দেওয়ার প্রত্যুত্তর দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। তাই আগেভাগেই দলে দলে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন সবাই। কেউ বিছানাপত্র, খাবার, শুকনা খাবার নিয়ে রাত্রিযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে এই উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন
শনিবার বিএনপির গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে। তার আগেই সেখানে অবস্থান নেওয়া নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

এ সময় সেখানে দেখা যায় গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, সদস্যসচিব মীর জাহিদুল ইসলামসহ অনেককে। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা সমাবেশস্থলে অবস্থান করা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নানাভাবে উজ্জীবিত করছেন। কেউ কেউ বক্তব্য দিচ্ছেন।

আরও পড়ুন

বিলকিস আক্তার জাহান প্রথম আলোকে বলেন, বরিশালবাসী প্রমাণ করে দিয়েছে তাঁরা এই অবৈধ সরকার আর চায় না। এর জলজ্যান্ত উদাহরণ এই জমায়েত। সমাবেশ শুরুর আগেই হাজার হাজার নেতা-কর্মীতে পূর্ণ হয়ে উঠেছে উদ্যান।

বিলকিস আক্তার জাহান বলেন, ‘সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। তাই সরকার জনগণকে ভয় পাচ্ছে। ভয় পেয়ে আমাদের নেতা-কর্মী ও জনগণকে ভয় দেখাচ্ছে। তাঁদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু এতে করে কোনো লাভ হবে না। মানুষ ফুঁসে উঠেছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না করে মানুষ ঘরে ফিরবেন না।