মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আর ভোটের দরকার হচ্ছে না। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে যাচ্ছেন।
এই তিন প্রার্থী হলেন চেয়ারম্যান পদে মো. আনিছ উজ্জামান। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সালের আপন চাচা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়ের পথে রয়েছেন মোহাম্মাদ নাজমুল হাসান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাছিনা বেগম। তাঁরা দুজন গতবারের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। নাজমুল হাসান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। হাছিনা বেগম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫ এপ্রিল এ উপজেলা নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আনিছ উজ্জামান মনোনয়নপত্র জমা দেন। ঋণখেলাপির কারণে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। আপিলের মাধ্যমে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এদিকে আজ সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাঁরা হলেন মোহাম্মাদ ইকবাল হোসেন ও সালমা বেগম। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন ছাড়াই জয়ের পথে তিন প্রার্থী।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ এপ্রিল জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূবালী ব্যাংকের মুন্সিগঞ্জ শাখায় আনিছ উজ্জামানের ছেলে রাজনের নামে একটি ঋণখেলাপির তথ্য ছিল। সেই ঋণের জামিনদার ছিলেন প্রার্থী আনিছ উজ্জামান। তাঁর ছেলে সময়মতো ঋণ পরিশোধ না করায় আনিছ উজ্জামানকেও ঋণখেলাপি হিসেবে গণ্য করা হয়। তাই তাঁর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ। প্রার্থিতার বৈধতা ফিরে পেতে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করেন আনিছ উজ্জামান। এর মধ্যে ঋণ পরিশোধের কাগজপত্র আপিলের সঙ্গে জমা দেন তিনি। গতকাল রোববার সব কাগজপত্র দেখে আনিছ উজ্জামানকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আবুজাফর রিপন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, যেহেতু চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী রয়েছেন, তাই এ উপজেলায় আর নির্বাচন হচ্ছে না। তাঁদের তিনজনকেই নিয়ম মেনে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।