যারা ভোট চুরি করবে, তাদের ধরে আমার কাছে নিয়ে আসবেন: কাদের সিদ্দিকী
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক নিয়ে প্রথম নির্বাচনী সভায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘চুরি করবেন না। নির্বাচনে ভোট চুরি করলে চাকরি থাকবে না। চুরি করলে জেলে যেতে হবে। কমপক্ষে ছয় মাস জেল খাটতে হবে।’
আজ সোমবার বিকেলে সখীপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের করোটিয়া পাড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী পথসভায় কাদের সিদ্দিকী এ হুঁশিয়ারি দেন। পথসভায় দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘যারা ভোট চুরি করবে, তাদের ধরে আমার কাছে নিয়ে আসবেন। তাদের যদি কমপক্ষে ছয় মাস জেল খাটাতে না পারি, তাহলে আমার নামে আপনারা কুত্তারে ভাত দিবেন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী। আজ সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের কার্যালয় থেকে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গামছা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই আসনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাজাহান ওরফে জয়। তা ছাড়া এ আসনে আরও চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হচ্ছেন রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), পারুল আক্তার (তৃণমূল বিএনপি), আবুল হাশেম (বিকল্পধারা বাংলাদেশ) ও মোস্তফা কামাল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।
ব্যক্তি নয়, প্রতীকের সঙ্গে প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না জানিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকার সঙ্গে গামছা প্রতীকের।’
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুন্নবী সোহেল প্রমুখ।