নেত্রকোনায় ব্যবসায়ীর মালামাল লুটের সময় ছাত্রদল নেতাসহ দুজন আটক
নেত্রকোনায় চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ব্যবসায়ীর মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রদলের এক নেতাসহ দুজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার ভোরে শহরের অজহর রোড এলাকা থেকে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটক দুজনের একজন রফিক খান মিলকী ওরফে ঝুনু (৩৫)। তিনি নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং শহরের নিউ টাউন এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সহযোগীর নাম সমীরণ তালুকদার (৩২)। তিনি পৌরসভার বলাইনগুয়া এলাকার বাসিন্দা।
ব্যবসায়ীর মালামাল লুটের ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে রফিক খানকে ছাত্রদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতির পদ মর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী জানান, রফিক খান মিলকীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনিদৃষ্ট অভিযোগ থাকায় কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁকে নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও নেত্রকোনা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা শহরের ব্যবসায়ী দিলীপ সরকার রাজশাহী থেকে একটি ট্রাকে নেত্রকোনায় গুড়সহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসেন। আজ ভোর পাঁচটার দিকে তিনি ট্রাকটি শহরের অজহর রোড এলাকায় বড় পুকুর পাড়ে রাখেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা জুনু খানের নেতৃত্বে ছয়–সাতজন যুবক ট্রাকচালক ও চালকের সহযোগীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে যুবকেরা চালক ও তাঁর সহযোগীকে আটকে রেখে ট্রাক থেকে গুড়, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে নেত্রকোনা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের একটি টহল দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে জুনু খানকে আটক করে। এ সময় তাঁর সহযোগী সমীরণ তালুকদার পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে চেষ্টা করলে সেনাসদস্যরা সেখান থেকে তাঁকেও আটক করেন।
সেনা ক্যাম্পের মেজর জিসানুল হায়দার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লুট হওয়া মালামালের মধ্যে ৯৩ বক্স গুড়, ৪০টি গুড়ের টিন, ২ বস্তা রসুন ও ৩ বস্তা পেয়াঁজ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক যুবকদের ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের সকালে নেত্রকোনা মডেল থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।