চোরাকারবারি ধরতে গিয়ে মারা যাওয়া বিজিবি সদস্যের লাশ হস্তান্তর
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে নদী সাঁতরে চোরাকারবারিকে ধরতে গিয়ে মারা যাওয়া বিজিবি সদস্য মাহবুব আলমের (৩১) লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন মাঠে এই লাশ হস্তান্তর করেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ। এ সময় মাহবুব আলমকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম বালাতাড়ী গ্রামের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বারোমাসী নদী সাঁতরে চোরাকারবারিকে ধরতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাহবুব আলমের মৃত্যু হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া মাহবুব আলম (৩১) লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বালারহাট বিওপিতে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার খালপাড়া গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছিলেন বিজিবির তিন সদস্য। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে এক চোরাকারবারি মালামালসহ বারোমাসী নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় তাঁকে ধরার জন্য সৈনিক মাহবুব ও সৈনিক মিজানুর নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরপর তাঁরা দুজনই সাঁতরে নদীর অপর পাশে হাঁটুপানিতে পৌঁছান। তবে মাহবুব সেখানে অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, মাহবুব অসুস্থ হয়ে পড়লে মিজানুর চিৎকার শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় ব্যক্তিরা নৌকা দিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে ডাঙায় নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় বিজিবি সদস্যরা অটোরিকশায় ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুবকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতেই মাহবুব আলমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ফুলবাড়ী থানার পুলিশ। পরে লাশ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের পর আজ তাঁর লাশ লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পে আনা হয়। এরপর তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।