রাজীবপুরে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় মো. সোলায়মান (২৯) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার দুপুরে গাজীপুরের বাসন থানার কড্ডা ইটাহাটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার দুপুরে রাজীবপুর ডাকবাংলায় সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিকে রাজীবপুর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. সোলায়মান রাজীবপুরের ওই গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার ৩ নম্বর আসামি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর মামা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে রাজীবপুর থানায় মামলা করেছিলেন। পরে ১ জুন দুপুরে মামলার প্রধান আসামি মো. জয়নাল আবেদীন (৪৮) ও মো. আলম হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তাঁরা কুড়িগ্রাম কারাগারে আছেন।
র্যাবের জামালপুরের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আবদুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা যায়, রাজীবপুরে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে গাজীপুরের র্যাব-১-কে সঙ্গে নিয়ে মামলার ৩ নম্বর আসামি সোলায়মানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪। আসামি সোলায়মান র্যাবের কাছে দলবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
রাজীবপুর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাজীবপুরে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলায় এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেপ্তার আসামি মো. সোলায়মানকে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধার নেওয়া ২০ হাজার টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় ওই গৃহবধূকে দুই মাস ধরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ পরিবারের। এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ করে বিচার না পেয়ে ২৪ মে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী বিষপান করেন। চর রাজীবপুর উপজেলা হাসপাতাল ও জামালপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার পর ২৯ মে ওই গৃহবধূ মারা যান। ভাগ্যক্রমে তাঁর স্বামী বেঁচে যান। ওই দম্পতির তিন বছরের একটি শিশুসন্তান আছে।