চন্দনাইশে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার পথে তাঁর কর্মীকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পৌরসভার সাতবাড়িয়া খানদীঘি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমদ ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরীর সমর্থকদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, হামলার শিকার তাঁর কর্মী নিবু কান্তি বড়ুয়া বাদী হয়ে শনিবার রাত ৯টার দিকে চন্দনাইশ থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। নিবু কান্তি বড়ুয়া (৫৪) উপজেলার বরকল ইউনিয়নের কানাইমাদারী গ্রামের মৃত সুদত্ত রঞ্জন বড়ুয়ার ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমদের সমর্থক নিবু কান্তি বড়ুয়াসহ কয়েকজন কর্মী একটি মাইক্রোবাসে সাতবাড়িয়া বড়ুয়াপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক মো. মামুনুর রশিদের (৩৫) একদল লোক তাঁদের গাড়ির গতি রোধ করেন ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। এরপর নিবু কান্তি বড়ুয়াকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়।
নিবু কান্তি বড়ুয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, মামুনুর রশিদ মামুনের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন তাঁদের গাড়ি থামিয়ে দরজা খুলে তাঁকে অতর্কিতে কিলঘুষি মারতে থাকেন। এরপর তাঁর গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেন তাঁর সঙ্গে থাকা জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি বলেন, মামুনুর রশিদ নামের কাউকে তাঁরা চেনেন না । এ বিষয়ে তাঁরা অবগত নন।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) যুযুৎসু যশ চাকমা বলেন, এ ব্যাপারে শনিবার রাত ৯টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমদের কর্মী নিবু বড়ুয়া বাদী হয়ে একটি অভিযোগ করেন। এতে মামুনুর রশিদ মামুনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।