সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত, বেড়েছে নদ-নদীর পানি

সিলেটে গতকাল সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা হাতে রিকশায় করে গন্তব্যে যাচ্ছেন এক যাত্রী। গতকাল সকালে নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায়ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেটে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় জেলায় ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় আছে। এ কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টিপাত বাড়ায় সিলেটের নদ-নদীর পানিও বেড়েছে। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। নদীর ওই পয়েন্টে আজ দুপুর ১২টার দিকে পানি বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ ছাড়া সুরমা, সারিঘাট, ধলাই নদের পানিও বেড়েছে। তবে সেগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও কাছাকাছি পৌঁছেছে।

আরও পড়ুন

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল মুঈদ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ২০৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। পরে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে ২৮ মিলিমিটার।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে নগরের বাসিন্দাদের মধ্যে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালেও বৃষ্টি থাকায় মানুষজনের চলাচল কম দেখা গেছে। যানবাহন চলাচলও কম ছিল।

নগরের জিন্দাবাজারে ব্লু-ওয়াটার শপিং সিটি নামে একটি বিপণিবিতানের কাপড়ের ব্যবসায়ী রাজু আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি আন্দোলন–সংগ্রামের কারণে এমনিতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। এর মধ্যে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে মার্কেট ক্রেতাশূন্য। এমন অবস্থায় ব্যবসায়ীরা সংকটে পড়েছেন।