আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার দাবিতে সড়ক অবরোধ
লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। আজ বৃহস্পতিবার প্রায় চার ঘণ্টা তারা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝুমুর এলাকায় অবরোধ করে।
সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে ছাত্র-জনতা। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে হত্যাকারী ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও তোলা হয়।
কর্মসূচিতে গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও সাব্বির হোসেন রাসেলের স্বজন এবং আহত মো. সুজন, এম এ আরিফ, সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যারা আহত হয়েছি, তারা যন্ত্রণায় রাতে ঘুমাতে পারি না। অর্থের অভাবে অনেকে সুচিকিৎসা করতে পারে না। কিন্তু প্রশাসন আমাদের কারও খবর রাখে না। শহীদ পরিবারের সদস্যদের খবর নেয় না।’
আন্দোলনে আহত এম এ আরিফ বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যরা খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা করে হুমকির মধ্যে রয়েছেন। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না। খুনিরা বাইরে ঘুরছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
বেলা ১টার দিকে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রিয়াঙ্কা দত্ত ও পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। এ সময় তাঁরা আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন।
পরে বেলা ২টার দিকে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার এসে আসামিদের গ্রেপ্তার ও আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ‘মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কাজ করছে। স্পেশাল একটি টিমও গঠন করা হয়েছে। আসামিদের অবস্থান চিহ্নিত করার কাজ চলছে। এ ছাড়া কে কে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন, তাঁদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহে বিভিন্ন দেশের ইমিগ্রেশনগুলোয় চিঠি দেওয়া হয়েছে। অচিরেই আমরা একটি পজিটিভ রেজাল্ট দিতে পারব।’