খুলনায় শেখ হাসিনার ৫ চাচাতো ভাইসহ ২১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
খুলনায় শেখ হাসিনার ৫ চাচাতো ভাই, সাবেক ৩ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ২১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ফুলতলা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলাটি করেন।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আক্তার মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দিঘলিয়া থানায় এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে আছেন বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ হেলাল, খুলনা-২ আসনের সাবেক এমপি শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সোহেল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের সাবেক সহসভাপতি শেখ রুবেল, শেখ বেলাল উদ্দিন, খুলনার সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সাবেক এমপি এস এম কামাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৪ আসনের সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এম ডি বাবুল রানা, জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান প্রমুখ।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর ফুলতলার সিকিরহাট থেকে ১০টি বড় ট্রলারে করে ফুলতলা উপজেলার প্রায় ২ হাজার নেতা-কর্মী খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। পথে দিঘলিয়ার চন্দনীমহল কাঁটাবন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা আসামিরা গুলি করেন এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। এতে নেতা-কর্মীরা গুরুতর জখম হন। অনেকে ভয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তীরে ওঠার চেষ্টা করেন। তখনো গুলি করে ও রামদা দিয়ে তাঁদের কোপানো হয়। মামলায় ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এর আগে একই ঘটনায় বিএনপির কর্মী শেখ সাজ্জাদুজ্জামান নিহত হওয়ার ঘটনায় ফুলতলা থানায় ২৯ আগস্ট একটি মামলা করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খানসহ আওয়ামী লীগের ৮৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০০ জনের নামে ফুলতলা থানায় একটি মামলা হয়।