গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একটি ভবনের তিনটি কক্ষের দেয়াল বিধ্বস্ত

একটি ভবনের দোতলার ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে তিন কক্ষের দেয়াল বিধ্বস্ত হয়েছে। আজ রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীতেছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে একটি ভবনের পাইপলাইনে গ্যাসের চুলা থেকে গ্যাস লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণে দোতলার তিনটি কক্ষের দেয়াল উড়ে গেছে। এ ঘটনায় কবিতা আক্তার (৪৫) নামের এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে দক্ষিণ কদমতলী নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, আজ সকাল ছয়টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলী নয়াপাড়া এলাকায় একটি দোতলা বাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ওই দোতলা বাড়ির তিনটি কক্ষের বারান্দার দেয়াল ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। ভবনের সিলিংয়ের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা গেছে। ভবনের কক্ষগুলোর দেয়ালও ধসে পড়েছে। ঘরের দরজা-জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় ভবনের দোতলার ভাড়াটে গার্মেন্টসকর্মী কবিতা আক্তার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে রাজধানীতে অবস্থিত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

আদমজী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মো. মিলন প্রথম আলোকে জানান, গ্যাসের চুলা থেকে জমা হওয়া গ্যাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে ওই বাড়ির একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে চুলার সুইচ ভালোভাবে বন্ধ না করায় গ্যাসের চুলা দিয়ে গ্যাস লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ওই বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে মা ও ছেলে ভাড়া থাকতেন। বিস্ফোরণের সময় মা বাড়িতে ছিলেন এবং ছেলে কাজে ছিলেন। গুরুতর অবস্থায় মা কবিতাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। তাঁর শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।