রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে এ হামলায় সংগঠনের চার নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতারা।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ হাসান, সদস্য জাকির রেদোয়ান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের নেতা নাহিদুজ্জামান, শহীদ শামসুজ্জোহা হলের নেতা জাকির হোসেন। তাঁদের মধ্যে মারুফ হাসান ও জাকির রেদোয়ান আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি দুজন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিএনপির তিন দিনের অবরোধের সমর্থনে ক্যাম্পাসে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জিয়া পরিষদের কর্মসূচি ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া পরিষদের এই কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে অবস্থান করছিলেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। এ সময় মোটরসাইকেলে এসে অতর্কিত হামলা চালান ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। হামলার একপর্যায়ে ছাত্রদলের চারজনকে তুলে নিয়ে যান তাঁরা। পরে তাঁদের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে বেধড়ক মারধর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোমিন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান ওরফে সোহাগ, কাইয়ুম মিয়া, সদ্য বিদায়ী কমিটির উপক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রাব্বিউল হাসান, ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল, তামিম, আকাশ, সোহাগ, সাদিক, সানি প্রমুখ এ হামলায় অংশ নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, শিক্ষকদের কর্মসূচিতে অংশ নিতে তাঁরা কয়েকজন নেতা–কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন মোটরসাইকেল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। রামদা, ছুরিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁরা এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁরা চারজনকে তুলে নিয়ে যান এবং মারধর করেন। পরে প্যারিস রোড থেকে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে নেতা–কর্মীদের উদ্ধার করেন।
হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, বিএনপি-জামায়াতের ছাত্রসংগঠন কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তাদের প্রতিহত করতে ক্যাম্পাসে তাঁরা অবস্থান নিয়েছেন। আজ সকালেও ছাত্রদলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ক্যাডার বাহিনী ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছিল। এ সময় তাঁরা প্রতিহত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, বিএনপিপন্থী একজন শিক্ষকের কাছ থেকে খবরটি জানতে পেরেছেন। হামলার বিষয়টি ছাত্রলীগের নেতারা অস্বীকার করেছেন। তবে ছাত্রদলের কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি।