বানিয়াচংয়ে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে উপজেলা বিএনপির সভা চলাকালে পুলিশ বাধা দিলে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশের পাঁচ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সিলেটে বিএনপির সমাবেশ সফল করতে উপজেলা বিএনপি গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় এলআর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক সভায় বসে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে বাধা দেয়। এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও পাঁচটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, এ সময় বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব, উপপরিদর্শক (এসআই) আতিক, কনস্টেবল বাবুল, বাদশা ও দেলোয়ার আহত হন। তাঁরা বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
বিএনপি সিলেট বিভাগের দায়িত্বরত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হাসান বলেন, সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ সফল করার জন্য নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে ওই এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন। এরপর রাতে একটি দোকানে বসে তাঁরা চা পান করছিলেন। এ সময় পুলিশ অন্যায়ভাবে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পাশাপাশি দলের উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহির খানকে গ্রেপ্তার করে।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় ওসিসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।