গ্র্যান্ড সুলতানে শামীম ওসমানের থাকার গুঞ্জন, তারপর তল্লাশি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পাঁচ তারকা হোটেল ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফে’ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শামীম ওসমানের থাকার গুঞ্জনে সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে জানতে পারে, বিষয়টি গুজব।
শামীম ওসমান গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে আছেন—এমন গুঞ্জন শোনার পর থেকে আশপাশের উৎসুক লোকজন রিসোর্টের আশপাশে ভিড় করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে রিসোর্টের প্রবেশদ্বারসহ আশপাশ ঘিরে রাখে। পরে পুলিশের সঙ্গে সেনাসদস্যরা হোটেলে তল্লাশি চালান। কিন্তু শামীম ওসমানকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে গিয়ে তল্লাশি করেছি। এখানে শামীম ওসমানের থাকা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছিলে, তা সম্পূর্ণ গুজব। কিছু মানুষ গ্র্যান্ড সুলতানের আশপাশে জড়ো হয়েছিল। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।’
শামীম ওসমানের থাকার গুজবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে ঘটনাস্থলে যান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া। তিনি গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উৎসুক জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে কেউ নেই। এসব গুজব। আপনারা চলে যান। অযথা ভিড় করবেন না।’ পরে সবাই চলে যান।
গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আরমান খান প্রথম আলোকে বলেন, শামীম ওসমানের থাকার বিষয়টি গুজব। তাঁদের রিসোর্টটি অরাজনৈতিক ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি পাঁচ তারকা রিসোর্ট। সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে। দেশবাসী সেটা জানেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার-বিবেচনা না করেই উসকানিমূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে, যা পর্যটন খাত তথা গ্র্যান্ড সুলতানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট। কোনো কিছু না জেনে-বুঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।