টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল ৯টায় টঙ্গীর গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ বুধবার সকাল ৯টা থেকে মহাসড়কের গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এতে সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।

আন্দোলনকারীরা স্থানীয় তারা টেক্স ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার শ্রমিক। এটি টঙ্গীর আউচপাড়া নাইমুদ্দিন মোল্লা সড়কে অবস্থিত। কারখানাটিতে কাজ করেন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। কারখানাটিতে গত অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া। নিয়ম অনুযায়ী চলতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ বেতন না দেওয়ায় আজ সড়ক অবরোধ করেছেন শ্রমিকেরা।

পুলিশ ও কারখানার শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, বকেয়া বেতনের দাবিতে গত কয়েক দিন কারখানার ভেতর শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। আজ সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে প্রথমে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। এরপর সকাল ৯টার দিকে দলে দলে জড়ো হন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখানে বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন

গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন বিভাগের প্রধান হিসেবে চাকরি করেন ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা আহনাফ হোসেন। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় ২০ মিনিট জ্যামে আটকে আছি। কখন সড়ক ছাড়বে, কোনো ঠিক নেই। সকাল সাড়ে ১০টায় অফিসে বোর্ড মিটিং বসার কথা। আমি কয়েকজন শ্রমিককে অনুরোধ করে বললাম, যেন আমার গাড়িটা ছেড়ে দেয়। কিন্তু তারা কোনো কথাই শুনছে না। নির্ধারিত সময়ের আগে অফিসে পৌঁছতে না পারলে অবস্থা বেগতিক হবে।’

পোশাকশ্রমিকদের অবরোধে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। আজ বুধবার সকাল ৯টায় গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মূলত এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছেন। যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আমরা কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’

এ বিষয়ে জানতে কারখানার মালিক আবুল হোসেন মজুমদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।