দিনের আলোতে ভোট করার সাহস আ.লীগের নেই: রুমিন ফারহানা
দিনের আলোতে ভোট করার সাহস আওয়ামী লীগের নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। আজ রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি। উপজেলার একটি রোস্তোরাঁয় এ সেমিনারের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচন করব। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। তার ওপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে তো কোনো দিন হয় না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে তারা (আওয়ামী লীগ) ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসতে পারছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন তারা করেছে। ভোট চুরি তাদের অভ্যাস।’
সরকারের উদ্দেশে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা (আওয়ামী লীগ) বিনা ভোটে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ বানিয়ে বসে গেছেন। ২০১৮ সালের তারা মধ্যরাতে নির্বাচন করেছে। তাঁদের দিনের আলোতে ভোট করার সাহস নেই। ২০২৩–এর শেষে বা ২০২৪ সালে আরেকটা নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো হবে না।’
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাঁদের সঙ্গে আমাদের বসতে হয়। আন্তর্জাতিকভাবে শক্ত চাপ আছে সরকারের ওপর। আর কোনো নির্বাচন এভাবে বিনা ভোটে, রাতের ভোটে করা যাবে না। আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বর্তমান সরকারের ওপর দেশের ১ পার্সেন্ট জনগণেরও সমর্থন নেই। কিন্তু বিএনপির পাশে আছে ১৬ কোটি মানুষ।’
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘১৯৭৩ সালে আমার বাবা অলি আহাদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করা সত্ত্বেও তাঁকে দুই দিন পর পরাজিত ঘোষণা করা হয়। এখান থেকে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে জয়ী করা হয়। তাদের (আওয়ামী লীগ) বিসমিল্লাহ হইছে ভোট চুরির মাধ্যমে, ১৯৭৩ সালে। ভোট চুরি করা তাদের অভ্যাস। তাদের রক্তেই আছে ভোট চুরি। এখনো তারা ওই জায়গা থেকে বের হতে পারেনি। তারা জানে মানুষের হাতে যদি ভোটের ক্ষমতা দেওয়া হয়, তারা জিন্দেগিতেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
বিএনপির সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তারা ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ১৯৯৬ সালেও তারা ক্ষমতায় আসার মতো সিট পায় নাই। ১৫১টি সিট তারা পায় নাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় যেতে হয়েছে। সুতরাং নিরপেক্ষ ভোট হলে তারা জীবনেও বাংলাদেশের মাটিতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের ফসল। ওই নির্বাচনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে তারা ক্ষমতায় আসতে পারছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তারা নির্বাচন করেছে।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমাদের শপথ নেওয়ার সময় এসেছে। আমরা সামনের নির্বাচন এভাবে আর করতে দেব না। আমাদের জানমাল যা আছে, তা নিয়ে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তুলব।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব নাসির মুন্সি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।