চট্টগ্রামের ফিশারিঘাটে রং মিশিয়ে মাছ বিক্রি
শরীরের জন্য ক্ষতিকর রং মেশানো হতো সমুদ্র থেকে ধরে আনা মাছে। বিভিন্ন রং ছিটিয়ে সেগুলো তাজা ও উজ্জ্বল দেখানো হতো। এ সব মাছ বিক্রি হচ্ছিল চট্টগ্রামের বৃহত্তর মাছে বাজার ফিশারিঘাট মাছ বাজারে। আজ রোববার ফিশারিঘাট মাছ বাজারে গিয়ে রং মিশ্রিত এমন ৭০ কেজি মাছ জব্দ করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ সকালে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন হোসেন ও মো. ফাহমুন নবী। এ সময় বাজারে দেখা যায়, রং মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছিল লইট্ট্যা ও ফাইস্যা মাছ। এ সব মাছ জব্দ করে নষ্ট করে ফেলা হয়।
এ দিকে আজ থেকে শুরু হয়েছে মা ইলিশ সংরক্ষণে ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞা। তবে ফিশারিঘাট ও পাহাড়তলী মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ইলিশ মাছ। এই দুই বাজার থেকে অভিযানে ৩০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া জরিমানা করা হয় সাত হাজার টাকা। অভিযানে ফিশারিঘাট থেকে ৩০ কেজি পিরানহা মাছও জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহমুন নবী বলেন, ইলিশ সংরক্ষণে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ২ বাজার থেকে ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। এ ছাড়া রং মিশ্রিত ৭০ কেজি মাছ ও ৩০ কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা রাহুল কুমার এবং বাংলাদেশ নৌ পুলিশের সদস্যরা।