গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে গতকাল শনিবার নতুন কমিটি ঘোষণা করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা। এতে স্বপন তালুকদারকে সভাপতি ও শামিম দাঁড়িয়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এ নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক ইয়াদুল নিজামি, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লালন শেখসহ কয়েকজন ক্ষুব্ধ হন। আজ নতুন কমিটির সমর্থক ও পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল কমিটি ঘোষণার পর থেকে কমিটি বাতিলের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এর ধারাবাহিকতায় আজ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতি চলাকালে নতুন কমিটির সমর্থক ও পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষ একে অপরের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনার পর উপজেলাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জানতে চাইলে নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শামিম দাঁড়িয়া প্রথম আলোকে বলেন, কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিত একটি পক্ষ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে। গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দলীয় কর্মসূচির প্রস্তুতি চলাকালে তারা নেতা-কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। পরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও ভাঙচুর করেছে।
পদবঞ্চিত নেতাদের মধ্যে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লালন শেখ প্রথম আলোকে বলেন, আগের কমিটি বিলুপ্ত করে যে দুজনকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের ছাত্রলীগ করার বয়স নেই। তা ছাড়া তাঁদের দুজনকে ছাত্রলীগের সব কার্যক্রমে সব সময় অংশ নিতে দেখা যায় না। তাঁরা ওই কমিটি বাতিল চান।
এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।