কেন্দ্রের সামনে হাঁটুপানি, ভিজে পরীক্ষা দিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের উত্তর ভবানীপুর এলাকায় জুড়ী-লাঠিটিলা সড়ক থেকে এখনো বন্যার পানি নামেনি। সড়কের সামনে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ এবারের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেট বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের সামনের সড়কে পানি থাকায় ভিজে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন জুড়ীর পরীক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে বেলা একটার দিকে দেখা যায়, তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের ঠিক সামনে সড়কের নিচু জায়গায় হাঁটুপানি। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা ভিজে স্থানটি পার হচ্ছেন। ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যান চলাচল করছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আজ তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। সকালে পানিতে ভিজে তাঁরা কেন্দ্রে যান। এখন আবার ভিজে বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। বন্যার পানির তোড়ে সড়ক ভেঙে স্থানটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সকালে গর্তে চাকা পড়ে একটি রিকশা উল্টে যায়। এতে রিকশায় থাকা দুই শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে ব্যথা পান এবং তাঁদের জামাকাপড়সহ পরীক্ষার কাগজপত্র ভিজে যায়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফরহাদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আপাতত বালুর বস্তা ফেলে কলেজের সামনের নিচু সড়কটি উঁচু করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। পরবর্তী পরীক্ষা ১১ জুলাই। এর মধ্যে কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২৩৩। দুটি ভেন্যুতে পরীক্ষা হচ্ছে। তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ভেন্যুতে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষা চলছে। প্রথম দিনের পরীক্ষায় ১৩ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিম জুড়ী ইউপির চেয়ারম্যান আনফর আলী বলেন, পরীক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য কলেজের সামনের সড়কের এক পাশে বালুর বস্তা ফেলে স্থানটি অন্তত তিন ফুট উঁচু করে দেওয়া হবে।
স্থানীয় উত্তর ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কের ওই স্থানটি ডুবে যায়। প্রায় এক মাস ধরে এমন অবস্থা। পানিও নামছে খুব ধীরগতিতে। প্রতিনিয়ত মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তিনি সড়কটি উঁচু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
জুড়ী-লাঠিটিলা সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) আওতাধীন। সওজের কুলাউড়া কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শাহ আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজের সামনের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া ওই স্থানে সড়কের ৫০০ মিটার আরসিসি ঢালাই করে উঁচু করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।